হাতের আঙুল উদ্ধার করতেই লাদাখ দখলে মরিয়া চীন!

হাতের আঙুল উদ্ধার করতেই লাদাখ দখলে তোড়জোড় শুরু করেছে চীন। কথাটি শুনে হতচকিত হলেও একেবারেই তা অবাস্তব নয়। কারণ চীন মনে করে তিব্বত হলো তাদের হাতের তালু। আর তাতে পাঁচটি আঙুল হলো- লাদাখ, নেপাল, ভুটান, সিকিম ও অরুণাচল।

হিসাবটা কি খুবই অদ্ভূত? তবে দেখুন, এই হিসাবটি করেছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন মাও সে তুং। চীন যখন তিব্বত দখল করে নেয়, তখন মাও সে তুং ও চীনের অন্য নেতারা বলেছিলেন, তিব্বত হল চীনের হাতের তালু, যা চীনকে দখল করতেই হবে।

পিপলস রিপাবলিকান অব চায়নার প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং বলেছিলেন- হাতের তালু হওয়ায় তিব্বত আমাদের দখল করতেই হতো। এরপর আমরা বাকি পাঁচ আঙুল নিজেদের করে নেব। এটাই চীনের ‘ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্রাটেজি’।

চীনের আকাঙ্খিত পাঁচ আঙুলের প্রথমটিই লাদাখ। এছাড়া সিকিম, অরুণাচল, নেপাল ও ভুটান রয়েছে। নেপাল ও ভুটান স্বাধীন রাষ্ট্র। বাকিগুলো ভারতের অঙ্গরাজ্য।

সম্প্রতি চীনা সেনা কর্তৃক লাদাখের গালওয়ান ভ্যালি দখল করে নেয়ার পরে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিব্বতের প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী লবসাং সাংগে প্রমাদ। তিনি বলেছেন, হাতের প্রথম আঙুল উদ্ধারের অংশ হিসেবে চীন লাদাখ দখলের মিশন শুরু করে দিয়েছে। সম্ভবত চীন লাদাখ পুরোপুরি দখলের জন্য বেশি সময় ব্যয় করবে না। কাজেই ভারতকে এখন আরও সতর্ক হতে হবে।

লবসাং সাংগে আরও জানিয়েছেন, ভুটান সংলগ্ন ডোকলাম সীমান্তে চীনা আগ্রাসন একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ মাত্র। তারা ক্রমেই এসব জায়গায় চীনা অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এরই মধ্যে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে নেপাল ও ভুটানকে নিজেদের ডেরায় নিতে সক্ষম হয়েছে চীন। অন্যদিকে ভারত এখন চীনের দেয়া ধাক্কায় নিজেদের তিন প্রদেশের অধিকার রক্ষায় ব্যস্ত।

এদিকে গত সোমবারের সংঘর্ষের জন্য ভারত এবং চীন উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে দায় চাপাচ্ছে। যদিও পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা এলএসি’র সীমানা ভালভাবে নির্দেশ করা নেই। উপরন্তু সেখানে নদী, হ্রদ এবং বরফে ঢাকা পর্বতের কারণে এর হেরফেরও ঘটে যায় মাঝে মধ্যে। ফলে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনেক জায়গায় ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে দাড়িয়ে যায়।

ছবি- সংগৃহিত

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: