লাদাখ নিয়ে ভারত-চীন মুখোমুখি। সীমান্তের দুই পাশেই চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। আকাশ কাঁপিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চীন-ভারতের বোমারু বিমান। পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয় বাসিন্দারাও নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন। এমনই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মাঝেই লাদাখ সফর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেছে। এখন শুধু যুদ্ধের চূড়ান্ত ঘণ্টা বাঁজার অপেক্ষা।
রোববারও ভারত-চীন সীমান্তের কাছে যুদ্ধবিমান দিয়ে মহড়া চালিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। তাদের দাবি, যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত তারা। চীনকে ক্ষমতা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত ভারতীয় বিমান ঘাঁটি থেকে অনবরত আকাশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাশিয়ার তৈরি শক্তিশালী বোমারু বিমান এসইউ-৩০ এবং এমকেআই আর মিগ-২৯।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাদাখের বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার ইলিউশিন-৭৬ আর আন্তোনভ-৩২ এর পাশাপাশি আমেরিকার সি-১৭ আর সি-১৩০ জে এর মতো পরিবহন বিমানও মজুত রেখেছে ভারত। সেই সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা ও সরঞ্জামাদি আনা নেয়া করতে বিমানগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
এর আগে ভারত-চীন উত্তেজনা নিরসনে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশ। তবে সমাধান আসেনি। বরং ভারতের দাবি, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। আর তাই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে রাখছে ভারত।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন উইং কমান্ডার সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানসেনারা যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা সমস্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার জন্য তৈরি। যুদ্ধ লড়ার জন্য বর্তমান সময়ে বিমান খুব শক্তিশালী একটি ক্ষেত্র ও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
বিমান বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ওই উইং কমান্ডার আরও জানিয়েছেন, যে কোনও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমাদের যাবতীয় লোকবল এবং সরঞ্জাম আছে। স্থলভাগে সামরিক অভিযানের সঙ্গে আকাশপথে যে কোনও সাহায্যের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে গত শুক্রবার লাদাখের বিমানঘাঁটি সফর করেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওই সফরে তার সঙ্গী ছিলেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এম এম নারাবনে।
সফরকালে ভারতীয় সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করেন মোদি। এসময় তিনি বলেন, 'আগ্রাসনের দিন শেষ। এখন প্রগতির যুগ। এগিয়ে যাওয়ার সময়। ইতিহাস সাক্ষী আগ্রাসনকারীরা সবসময় ধ্বংস হয়েছে। যারা আগ্রাসনের নীতিতে চলেছে তারা শান্তির বিপক্ষে।
টাইমস/এসএন