লিবিয়ায় যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে তুরস্ক-ফ্রান্স

লিবিয়ায় মোতায়েন করা তুর্কি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বিমান হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী। ফরাসি সেনা মুখপাত্র কর্নেল ফ্রেডেরিক বারবারি ওই ঘটনায় তার দেশের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আল-আরাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার লিবিয়ার ‘আল-ওয়াতিয়া’ সেনাঘাঁটিতে নিয়োজিত তুর্কি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিমান হামলা সংঘটিত হয়।

ওই ঘটনায় লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলীভিত্তিক আন্তর্জাতিক সমর্থনপুষ্ট দেশটির জাতীয় ঐক্যমতের সরকার জানায়, ‘আল-ওয়াতিয়া’ সেনাঘাঁটিতে বিদেশী জঙ্গিবিমান বোমাবর্ষণের সঙ্গে জড়িত। এই হামলার পেছনে লিবিয়ার বিচ্ছিনতাবাদীদের মদদদাতারা জড়িত। জঙ্গি বিমানগুলো ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে। যদিও হামলায় কোনো সৈন্য হতাহত হয়নি এবং কোনো সামরিক স্থাপনারও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

কিন্তু ফ্রান্স সেনাবাহিনী ওই হামলার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তারা জানিয়েছে, লিবিয়ায় তুর্কি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ফ্রান্সের কোনো আক্রোশ নেই।

তবে তুর্কি সেনা দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার পেছনে যারাই থাকুক না কেন, তাদের পরিস্থিতি ভুগতে হবে। উস্কানিমুলক কর্মকান্ড তুরস্ক কখনো পুষে রাখতে চায় না।

এদিকে হামলার বিষয়ে লিবিয়ার অন্যান্য বিভিন্ন সূত্র জানায়, হামলায় লিবিয়া ও তুরস্কের সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন পদস্থ কমান্ডার আহত হয়েছেন। এছাড়া লিবিয়ার বিদ্রোহী সেনা অধিনায়ক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে মোতায়েন তুর্কি সেনা অবস্থানে হামলা ও দেশটির বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে।

প্রসঙ্গত, খলিফা হাফতারের বাহিনী ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ কিছু ইউরোপীয় দেশের সমর্থন নিয়ে রাজধানী ত্রিপোলি দখলের অভিযান শুরু করে। ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ স্বীকৃত জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হাফতার বাহিনীর হামলা প্রতিহত করে এসেছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। আর তুরস্ক লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের সমর্থনে দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: