কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে খাঁটি সোনার মাস্ক বানিয়েছেন ভদ্রলোক!

কোভিড-১৯ রোগটির হাত থেকে বাঁচতে মাস্কের বিকল্প নেই। বিভিন্ন ধরণের মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অবগত আছি, এমনকি বাড়িতে তৈরি কাপড়ের মাস্কের কার্যকারিতা সম্পর্কেও জানি, কিন্তু কখনো কি স্বর্ণের তৈরি মাস্কের কথা শুনেছেন?

এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের মহারাষ্ট্র অঙ্গরাজ্যে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে প্রায় ৩ লাখ ভারতীয় রুপি খরচা করে নিখাদ স্বর্ণ দিয়ে মাস্ক বানিয়েছেন পুনের পিম্পরি-চিঞ্চোয়াদের বাসিন্দা শঙ্কর কুরাদে।

শোভাময় এই ‘প্রতিরক্ষামূলক গিয়ার’ বিশেষ কারুকার্য খচিত এবং এটি সাদা ইলাস্টিক ব্যান্ড দ্বারা কানের সাথে যুক্ত থাকে। শঙ্কর কুরাদে জানান, এই ধাতব মুখোশটি ওজনে হালকা (৫০ গ্রাম) এবং এতে অনেকগুলি ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকায় শ্বাস নিতে কোনো অসুবিধা হয় না। স্বর্ণের তৈরি এই মাস্ক কি সত্যিই কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম?

এর কার্যকারিতা সম্পর্কে শঙ্কর কুরাদে গণমাধ্যমকে বলেন, “এই মুখোশটি কার্যকর হবে কিনা তা আমি নিশ্চিত নই।”

ইতিমধ্যে স্বর্ণের মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ভদ্রলোকের ছবি, ভিডিও ও মিম ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়, চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। বলা হচ্ছে, টাকা দিয়ে সব কেনা সম্ভব হলেও ‘কমনসেন্স’ কেনা যায় না।

এদিকে কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সরকার ও প্রশাসন। নেটিজেনদের মতে, এই একটি স্বর্ণের মাস্কের খরচে প্রায় ১,৭৫,০০০ সাধারণ ডিসপোজেবল মাস্ক বা ৭০০ পিপিই বানানো যেত। যা তিনি জনকল্যাণে ব্যয় করতে পারতেন।

তবে নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, অর্থের মালিক হলেই মানুষ বুদ্ধিমান হবে এমন ভাবাও বোকামি, আর এই সত্য কুরাদ আরও একবার প্রমাণ করলেন। কারণ, তার এই সোনার মাস্ক আদৌ কার্যকর হবে কিনা তিনি তা জানেন না এবং এটি যদি কার্যকর না হয় তাহলে এতো দামি মাস্ক ব্যবহারের পরেও তার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হবার ঝুঁকি একটুও কমবে না।

উল্লেখ্য যে, মি. কুরাদ সোনার অলঙ্কার খুব পছন্দ করেন। তিনি প্রত্যেকটি আঙুলে বিলাসবহুল ভারী সোনার রিং, কব্জিতে সোনার ব্রেসলেট এবং গলায় বিশাল সোনার চেইন পরিধান করে থাকেন। বলা হয়ে থাকে মহারাষ্ট্রের পুরুষদের মধ্যে প্রচণ্ড স্বর্ণ প্রীতি রয়েছে। অঙ্গরাজ্যটির অন্তর্গত নাসিকের পঙ্কজ পরখ প্রায় ১.৩ কোটি রুপি ব্যয়ে ৪.১ কেজি ওজনের স্বর্ণের শার্ট তৈরি করে গিনিজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছেন। তথ্যসূত্র: ট্রিবিউন ইন্ডিয়া এবং দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: