লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই এবার জম্মু-কাশ্মীর নিয়েও বিপাকে পড়েছে ভারত। ভারতকে জম্মু-কাশ্মিরেও বেকায়দায় ফেলতে চাইছে চীন-পাকিস্তান। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক রিপোর্টে এমনটিই বলা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, দিল্লির গোয়েন্দারা দেশটির সরকারকে জানিয়েছে যে, চীনের মদতে কাশ্মিরে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ঢুকিয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মিরের জনগনের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আপাত দৃষ্টিতে পাকিস্তান কাশ্মিরে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বলে মনে হলেও মূলত কলকাঠি নাড়ছে বেইজিং।
জম্মু-কাশ্মিরকে অস্থিতিশীল রাখতে পারলে লাদাখে শক্ত অবস্থান তৈরি করা চীনের জন্য সহজ হবে, এই ভাবনা থেকেই তারা কাশ্মিরে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি জম্ম-কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। যেসব অস্ত্রের অধিকাংশই চীনে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের।
ভারতের সরকারি একটি সূত্র বলছে, কাশ্মিরে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যাপক মজুদ গড়তে চায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর তাদের এই কাজে পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে চীন।
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, কাশ্মির উপত্যকায় অনুপ্রবেশ ঘটানোর জন্য সাধারণত গরমের সময়কে বেছে নেয় দুষ্কৃতিকারীরা। কারণ শীতের সময় উপত্যকার পাহাড় ও রাস্তাঘাট বরফে ঢাকা থাকে।
তবে কাশ্মিরে পাকিস্তানীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও অস্ত্রপাচার বন্ধ করতে এরই মধ্যে সীমান্তে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে ভারতীয় বাহিনী।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মিরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানোর পাশাপাশি কাশ্মিরি যুবকদের চরমপন্থী দলে টানার চেষ্টা করছে। এছাড়া কাশ্মির থেকে একাধিকবার ইএমইআই টাইপ ৯৭ এনএসআর রাইফেল উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনারা। এসব রাইফেল চীনা সংস্থা নরিনকো তৈরি করে এবং তা চীনের সেনারাও ব্যবহার করে।
ভারতের গোয়েন্দারা জানিয়েছে, চীনের তৈরি এসব রাইফেল ‘উপহার’ হিসেবে পাকিস্তানকে দিয়েছে চীন। কিন্তু সেই অস্ত্র এখন কাশ্মিরে পাওয়া যাচ্ছে। যা ভারতের জন্য আতঙ্কের।
টাইমস/এসএন