চলতি মাসেই ভিয়েতনামে ট্রাম্প-কিমের দ্বিতীয় বৈঠক

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে চলতি মাসেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষ বৈঠকে বসার ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে বার্ষিক স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে এই বৈঠক হবে।

এসময় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এই ভাষণে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে একটি দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐক্যের ডাকও দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, একটি নতুন শক্তিশালী কূটনীতির অংশ হিসেবে আমরা কোরীয় উপদ্বীপের ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেব।

ট্রাম্প বলেন, আমাদের বন্দিরা বাড়িতে ফিরে এসেছে। পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। গত ১৫ মাসে তারা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট, আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হতাম, এখন আমরা, আমার মতে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি বড় ধরনের যুদ্ধে রত থাকতাম।

তিনি বলেন, যদিও এখনও আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে, তবে কিম জং-উনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো।

এর আগে ২০১৮ সালের জুনে সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-উনের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ওই বৈঠকটি ছিল উত্তর কোরিয়ার একজন নেতার সঙ্গে কোনো ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বৈঠক।

কমিউনিস্ট শাসিত ভিয়েতনামের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র, উভয়েরই ভালো সম্পর্ক আছে। ট্রাম্প-কিমের দ্বিতীয় বৈঠকের জন্য এই দেশটির নামই সবচেয়ে বেশি বার সুপারিশ করা হয়েছিল বলে খবর রয়টার্সের।

ভিয়েতনামের কোন শহরে তাদের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে তা জানাননি ট্রাম্প। তবে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় অথবা ডা নাংয়ে বৈঠকটি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচক চোলের সাক্ষাতের পরই দুই শীর্ষ নেতার দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। সে সময় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ফেব্রুয়ারির শেষে বৈঠকটি হতে পারে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: