শুভেন্দুকে হারিয়ে নন্দীগ্রামে মমতার বিজয়

দিনভর নানা নাটকীয়তা। সাপ-লুডু খেলার মতো। একবার মমতা এগিয়ে, তো পরের বার গণনায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আবারও ক্ষমতায় আসছে, তা বুঝা গেছে ভোট গণনা শুরু পর থেকেই। তবে সারাদিনই মানুষের নজর ছিল নন্দীগ্রামে। কারণ এই আসনে তৃণমূল প্রধান মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মোদীর ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ ছেড়ে দেননি মমতাও। তিনিও জেদ করে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন। হাতে গড়া রাজনৈতিক সহযোদ্ধা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর তাতেই প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকে নন্দীগ্রাম ছিল আলোচনায়।

নন্দীগ্রামে মমতাকে হারাতে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও নেমেছিলেন আটঘাট বেঁধে। চলচ্চিত্র তারকা কিংবা ক্রীড়া তারকা, কাউকেই মমতার বিরুদ্ধে প্রচারে নামাতে বাদ রাখেনি বিজেপি।

তবে নরেন্দ্র মোদীর চ্যালেঞ্জ ঘোষণার পরই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামেই বিজেপির হেভিওয়েটপ্রার্থী শুভেন্দুকে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছেন মমতা। এই জয়ের মধ্যদিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় মূলত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হারিয়ে দিয়েছেন বলে মত বিশ্লেষকদের। নন্দীগ্রামে ১২০১ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন মমতা।

এদিকে মমতার জয়ের খবর নিশ্চিত হওয়ার পরপরই কলকাতার কালীঘাটে শুরু হয়েছে উৎসব। রং মেখে, বাদ্য বাজিয়ে কলকাতায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে আনন্দ মিছিল।

অপরদিকে বিজেপি প্রার্থীদের একের পর এক পরাজয়ের খবরে দলটির নেতাকর্মীরা অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন। কলকাতার হেস্টিংস এলাকায় বিজেপির মিডিয়া সেন্টারও জনশূন্য হয়ে পড়েছে। পরাজয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে এখন একে অপরকে দোষারোপে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: