একে অপরের বিরুদ্ধে কথার যুদ্ধে মেতেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইমরান খান পরস্পরকে টুইট বার্তার মাধ্যমে এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে। যেখানে একজন আরেকজনকে কটূক্তি করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেননি।
কূটনীতিক সূত্রগুলো ধারণা করছে, এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হতে পারে।
রোববার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পাকিস্তানের সমালোচনা করে অভিযোগ করেন, পাকিস্তানকে শত শত কোটি ডলার সহায়তা দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই পাকিস্তানই লাদেনকে নিরাপদে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল। আর পাকিস্তানের সবাই তা জানত। পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিচ্ছু করেনি। কানাকড়িও করেনি।
ট্রাম্পের অভিযোগের জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সোমবার টুইটারে লেখেন, ইমরান বলেন, নাইন/ইলেভেন-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে অংশ নেওয়ায় পাকিস্তানের ৭৫ হাজার লোক হতাহত হয়েছে। ১২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর মার্কিন সহায়তা ছিল মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলার।
আরেক টুইট বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঠা না বানাতেও হুশিয়ারি দিতে ইমরান খান প্রশ্ন করেন, আর একটা মিত্রের নামও কি ট্রাম্প বলতে পারবেন, যে এত ত্যাগ স্বীকার করেছে?
ইমরানের খানের টুইটের জবাবে ট্রাম্পও টুইটারে লেখেন, আমরা পাকিস্তানকে আর অর্থ দেব না। কারণ, তারা অর্থ নিয়ে আমাদের জন্য কিছুই করেনি। লাদেনের ঘটনা তার বড় উদাহরণ।
অন্য আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, বহু আগেই লাদেনের ধরা পড়া উচিত ছিল। পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান কখনোই বলেনি যে লাদেন তাদের ওখানেই আছেন।