খুন হওয়া ছাত্রের লাশ পুঁতে রাখল স্কুল কর্তৃপক্ষ

স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বচসার কারণে মারধর করা হয়েছিল আবাসিক এক ছাত্রকে। তার জেরে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। অভিযোগ, ছাত্রদের ‘দোষ ঢাকতে’ খুন হওয়া ওই ছাত্রের দেহ পুঁতে দিয়েছে স্কুল। চেষ্টা করা হলো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ারও।

ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের একটি আবাসিক স্কুলে ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রের খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার এই ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে স্কুলের বিরুদ্ধে।

ভারতের একটি গণমাধ্যম জানায়, বুধবার চিকিৎসকরা ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর স্কুলের ক্যাম্পাসেই এই ছাত্রকে সমাধিস্থ করে ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ওই ছাত্রের নাম বাসু যাদব। বিস্কুটের প্যাকেট চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। সেই সময়ই স্কুলেরই এক দল ছাত্র মারধর করে বাসুকে।

শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় অনেকক্ষণ পড়েছিলেন তিনি। ওয়ার্ডেন তাকে শ্রেণিকক্ষে পড়ে থাকতে দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ জানার পরেও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গড়িমসি করে।

ময়না তদন্তে জানা গেছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে বাসুর। ওই ছাত্রের বাড়ি হাপুরে। স্কুল থেকে তার বাড়িতে জানানো হয়, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে বাসুর।

উত্তরাখণ্ডের শিশু অধিকার রক্ষা দপ্তরের চেয়ারপার্সন ঊষা নেগী গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার দিক থেকে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে সরিয়ে রাখার জন্য সব রকমের চেষ্টা করেছে স্কুল। ১০ মার্চের ঘটনা ১১ মার্চ তারা জানতে পারেন। এরপরই স্কুলে পৌঁছান তারা। তখনই জানা যায়, ক্যাম্পাসে দেহ পুঁতে রাখার কথা।

ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে আরও বেশ কয়েকজনের।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: