আফ্রিকা মহাদেশের দেশ জাম্বিয়া। সেখানে ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন এলিজাবেথ বালওয়া মেওয়া। ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে দীর্ঘ ১২ বছর কাজ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কৃত কর্মের একটি স্বীকারোক্তি করেছেন তিনি। তার সেই স্বীকারোক্তি শুনে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়া।
জাম্বিয়ার ওই হাসপাতালে ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৫ অবধি কাজ করেছেন এলিজাবেথ। তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই দীর্ঘ ১২ বছরে প্রায় ৫ হাজার নবজাতককে অদলবদল করেছেন তিনি। তবে এই কাজ তিনি নাকি কোনো স্বার্থ সিদ্ধির জন্য করেননি। শুধুমাত্র মজা পাওয়ার জন্য এক দশক ধরে এই অপরাধ করে গেছেন তিনি।
বর্তমানে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। হয়ত বেশিদিন বাঁচবেন না। সম্প্রতি এলিজাবেথের মনে হয়েছে, কৃত অপরাধ স্বীকার না করলে সৃষ্টিকর্তা তাকে ক্ষমা করবেন না। সে জন্যই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অপরাধের কথা কবুল করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত, হয়ত বেশিদিন আর বাঁচব না। তাই আমার আর কিছু লুকানোর নেই। ইউটিএইচের প্রসূতি বিভাগে ১২ বছর কাজ করেছি আমি। সে সময় প্রায় ৫ হাজার বাচ্চার অদলবদল করেছিলাম। সেই সব বাচ্চার মায়েদের থেকে আমি ক্ষমা চাইছি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সেই সময় কোনো এক দৈত্য যেন তাকে দিয়ে এই কাজ করিয়ে নিয়েছে।’ তার আনন্দের জন্য অনেক সুখী দম্পতির বিচ্ছেদও হয়েছে। সে জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। এলিজাবেথের এই স্বীকারোক্তির পর জাম্বিয়ার জেনারেল নার্সিং কাউন্সিল বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।তারা দেখছে ওই সময়কালে এই নামের কোনো নার্স কাজ করতেন কি না।
টাইমস/এসআই