রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত সাত সেনা সদস্যকে আগাম মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার। ১০ বছরের সাজা হলেও কারাবন্দি হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মাথায় গোপনে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ মে) দুই কারা কর্মকর্তা, দুই সাবেক কারাবন্দি ও এক সেনা সদস্যকে উদ্ধৃত করে খবরটি জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দুই বন্দী জানিয়েছেন, গত বছরের নভেম্বরেই ওই সেনাদের মুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু এতদিন ধরে তা গোপন ছিল।
নৃশংসতার অনুসন্ধানী খবর প্রকাশ করায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কথিত সরকারি গোপন তথ্য ফাঁসের দায়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমার সরকার। পরে অবশ্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ১৬ মাস অবৈধভাবে আটক রাখার পর গত ৬ মে ওয়া লোন এবং কেয়াও সোয়েও নামে রয়টার্সের ওই সাংবাদিকদের রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দেয়া হয়।
রাখাইনের সিতওয়ে কারাগারের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক উইন নেইং এবং রাজধানী নেইপিদোর এক ঊর্ধ্বতন কারা-কর্মকর্তা
নিশ্চিত করেছেন যে, গত কয়েক মাস ধরেই কারাগারে নেই ওই সেনারা। সেনাবাহিনী তাদের শাস্তি কমিয়ে দেয়ায় তারা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তবে ঠিক কবে ওই সেনারা মুক্তি পেয়েছেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তারা। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি সেনা মুখপাত্র জাও মিন তুন এবং তুন তুন নি।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় গ্রাম ইনদিনে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীরা ১০ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে। তাদের রাখা হয় গণকবরে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানায়, ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেই তদন্তের ভিত্তিতে গত বছরের এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত ৭ সেনাকে কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
টাইমস/এইচইউ