জাকির নায়েকের বক্তৃতা দেয়া নিষিদ্ধ করল মালয়েশিয়া

পিস টিভির প্রতিষ্ঠাতা ভারতের নাগরিক জাকির নায়েক মালয়েশিয়ার কোনো প্রদেশেই আর বক্তৃতা দিতে পারবেন না। এর আগে মালয়েশিয়ার সাত প্রদেশে তার বক্তৃতা দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।

মালয়েশিয়ার পুলিশ বলছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

নিজের বক্তৃতা নিয়ে ২০১৬ সালে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েন জাকির নায়েক। সে সময় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও উগ্রপন্থাকে উসকে দেয়ার অভিযোগ তুলেছিল ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) ও পিস টিভি।

অভিযোগ ওঠার পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই ভারত ছেড়ে যেতে বাধ্য হন জাকির নায়েক। ভারতে মামলা হওয়ার পর জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় আশ্রয় চাইলে তাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় তৎকালীন নাজিব রাজাক সরকার। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া শহরে বসবাস করে আসছেন।

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় হিন্দু এবং চীনাদের নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করেন জাকির নায়েক। তিনি চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা বলেন এবং ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এরপরই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মালয়েশিয়ার তিন মন্ত্রী তার স্থায়ী নাগরিকত্ব কেড়ে নেবার আহ্বান জানান।

রোববার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা বলে সীমা লঙ্ঘন করেছেন জাকির নায়েক।

সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে মালয়েশিয়ায় শান্তি নষ্ট করার অভিযোগে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ১১৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আত্মপক্ষ সমর্থন করে জাকির নায়েক বলেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি মোটেও বর্ণবাদী নন। সমালোচকরা তার বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং তার বক্তব্যের সঙ্গে মনগড়া কথা যোগ করা হয়েছে।

জাকির নায়েক তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেন, আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করেছি। কিন্তু তবুও আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: