কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ৪১০০

জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিক বলছেন, কাশ্মীর স্বাভাবিক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই কথা সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও জানিয়েছেন।

কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪১০০ জনকে গ্রেপ্তার বা আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এ পর্যন্ত ৬০৮ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জনসুরক্ষা আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। তাদের প্রায় সকলকেই উপত্যকার বাইরে উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের নানা জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

গ্রেপ্তার হয়েছেন মূলত তরুণেরা। রাজনৈতিক নেতা, হুরিয়ত নেতা, বিভিন্ন নাগরিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা— প্রশাসন যাদের ‘বিপজ্জনক’ মনে করেছেন, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কাশ্মীর পুলিশের এক কর্মকর্তা।

সরকারিভাবে আটকের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে আনন্দবাজারকে প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, আটকের প্রকৃত সংখ্যা ৪১০০-রও অনেক বেশি। বিভিন্ন থানার লকআপ ভরে যাওয়ার পরে বহু তরুণকে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবিরগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের সংখ্যা পুলিশ কর্মকর্তার হিসাবের বাইরে থেকে গিয়েছে। সেখানে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। বহু পরিবারই জানে না নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে তাদের সন্তান কোথায় আছে।

জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করা ও সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর টানা ২২ দিন ধরে কাশ্মীর যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। বাস চলাচল কবে শুরু হবে, খবর নেই। তার মধ্যেই উপত্যকার বাইরের স্বজনদের সঙ্গে দু’টো কথা বলতে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে প্রশাসনের গড়ে দেয়া টেলিফোন বুথের সামনে লাইন দিচ্ছেন উদ্বিগ্ন কাশ্মীরিরা।

সেখানে ৫০০ লোক পিছু সিআরপির বরাদ্দ পাঁচটি মোবাইল ফোন। দোকান-পাট, বাজার, এমনকি ওষুধের দোকানও বন্ধ। স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের সেখানে পাঠানোর সাহস করেননি অভিভাবকেরা। এর পরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেগুলো।

রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক রোববারও বলছেন, কাশ্মীর শান্ত। তবে সেখানকার বাসিন্দাদের কথায়, এ যেন কবরের শান্তি।

 

টাইমস/এসআই 

Share this news on: