জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ৯৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর স্থানীয় সময় শুক্রবার ৯৫ বছর বয়সী মুগাবে মারা যান বলে বিবিসিকে তার পরিবার জানিয়েছে।
এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। মুগাবের পর গত বছর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এমারসন নানগাগওয়া।
স্বাধীনতার পর প্রথম নির্বাচনে জয়ী হন মুগাবে। ১৯৮০ সালে তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালের পর তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
১৯২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রোডেশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন রবার্ট মুগাবে। ১৯৬৪ সালে রোডেশিয়া সরকারের সমালোচনা করে বিচার বহির্ভূতভাবে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় কারাগারে আটক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে কারাগারে থাকতেই তিনি জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের (জানু) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মুগাবে ছিলেন জানুর প্রতিষ্ঠাতা।
রবার্ট মুগাবের উঠে আসা এবং রাজনৈতিক জীবন:
১৯২৪: রবার্ট মুগাবের জন্ম। পরে প্রশিক্ষণ নেন শিক্ষকতায়।
১৯৬১: ঘানার স্যালি হেফ্রনকে বিয়ে করেন।
১৯৬৩: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতার ধারাবাহিকতায় জানু-পিএফ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৬৪: বন্দিত্ব বরণ। প্রায় ১০ বছর রোডেশিয়ার কারাগারে ছিলেন তিনি।
১৯৮০: ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর জিম্বাবুয়ের প্রধানমন্ত্রী হন। জয়লাভ করেন স্বাধীনতা উত্তর নির্বাচনে।
১৯৮১ : নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
১৯৮৭ : প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৯৪: প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতিগত বিদ্বেষ অবসানের অন্যতম দৃঢ় সমর্থক।
১৯৯৬: গ্রেস মারুফুকে বিয়ে করেন।
২০০০: গণভোটে পরাজয়। শ্বেতাঙ্গদের কৃষি খামার অধিগ্রহণ।
২০০২: প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে জয়লাভ।
২০০৮: প্রথম দফা নির্বাচনে হেরে যান। দ্বিতীয় দফায় সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে তার প্রতিদ্বন্ধী সরে দাঁড়ান।
২০০৯: নির্বাচনের প্রতিপক্ষ মর্গান সাভাঙ্গিরাইকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত।
২০১১: উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে জানা যায় রবার্ট মুগাবে প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন।
২০১৭: দীর্ঘদিনের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত এবং এরপরই নিজ দল জানু-পিএফ ও সামরিক বাহিনীর ক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হন।
টাইমস/এসআই