বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্সে ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন মুন্নী রানী। এবার তিনি বিসিএসেও তার সেরাটা দেখিয়েছেন। সারাদেশের মধ্যে তিনি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার ইংরেজিতে প্রথম হয়েছেন। সদ্য প্রকাশ হওয়া ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে তিনি সেরাদের সেরা হয়েছেন। এই সফলতার পেছনে পরিবার থেকেই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন মুন্নী তার প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস তার বাবা-মা। বিশেষ করে তার বাবা। তবে এত ভালো ফল করেও মুন্নীর আক্ষেপ রয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চান মুন্নী। যদি সুযোগ পান তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশাকেই বেছে নেবেন, এমনটাই জানালেন মুন্নী।
জানা যায়, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে ভর্তি হন মুন্নী। ২০০৮ সালে রংপুর পীরগঞ্জের কে জে ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১০ সালে শঠিবাড়ি কলেজ থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতেও তিনি বৃত্তি পান। পীরগঞ্জের শানের হাট গ্রামে তার জন্ম। বাবা মুকুল চন্দ্র মহন্ত। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে বড় তিনি। ছোট বোনও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই এবং ছোট ভাই পড়ছেন দশম শ্রেণিতে। ২০১৬ সালে প্রাইমারিতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এরপরে ২০১৯ সালে ৩৭তম বিসিএস এর নন-ক্যাডারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে রংপুর সদর উপজেলায় সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
মুন্নী রানী জানান, শুরু থেকেই শিক্ষকতার স্বপ্ন দেখেছি। এ জন্য বিভাগে ভালো পড়াশোনা করে অনার্স এবং মাস্টার্সে প্রথম স্থান অধিকার করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য একবার অ্যাপ্লাই করেছিলাম কিন্তু হয়নি। যেহেতু এখন শিক্ষা ক্যাডারে চান্স পেয়েছি তাই আমি অনেক খুশি হয়েছি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন দেখেন মুন্নী রানী। তিনি বলেন, যদি কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাই তবে সেখানে চলে যাব। এমনকি যদি আমার এডমিন ক্যাডারেও হতো তবুও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতাতেই চলে যেতাম।
টাইমস/জেকে