তিন পাহাড়ি কন্যার স্বপ্নজয়

পাহাড়েই তাদের শৈশব কেটেছে। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে তাদের স্বপ্নগুলো বড় হতে থাকে। দুর্গম পাহাড়ে থেকেও তারা স্বপ্ন দেখতেন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তাদের স্বপ্নগুলো পাখা মেলতে শুরু করে। অবশেষে তারা স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখেছেন। এবার ৩৮তম বিসিএসে তিন পাহাড়ি কন্যা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন আনসার ক্যাডারে, একজন প্রশাসন ক্যাডারে ও একজন শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন মাচিচিং মারমা। রসায়নের ওই ছাত্রী ৩৮ তম বিসিএসে আনসার ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। জাবি ছাত্রী মাচিচিং মারমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গুগড়াছড়ি গ্রামে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ছাত্রী অংমেচিং মারমা ৩৮ তম বিসিএস এ প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায়।

এছাড়া পাপিয়া বড়ুয়া ৩৮তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। পাপিয়ার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। আবদুল্লাপুর গ্রামের মুকুন্দ বিহারী বড়ুয়ার মেয়ে তিনি। শিক্ষা ক্যাডারে দর্শন বিভাগে নেয়া ৩৯জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন পাপিয়া।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে ২ হাজার ২০৪ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া নন-ক্যাডারে আরও ৬ হাজার ১৭৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: