মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করবেন কিভাবে?

আমরা যাই করি, দেখি বা ভাবি না কেন, আমাদের মস্তিষ্ক অবিরত পর্দার পেছনে কাজ করে যেতে থাকে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নির্দেশনা পাঠানো, দেহের ভারসাম্য বজায় রাখাসহ নানা সমস্যা সমাধানে দেহের এই অঙ্গটিকে সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয়।
আমাদের দেহের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো মস্তিষ্কও মাঝে মধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। অনেক সময় কাজের চাপে, বিষণ্নতায় বা অন্য যেকোনো কারণে আমাদের মস্তিষ্ক ক্লান্ত বা ভারাক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।
মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে গেলে বা অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ভরে গেলে কাজের অগ্রগতি কমে যায় এবং সমস্যা সমাধান বা চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে ধীরতা বা স্থীরতা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধান করতে মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করা বা একে রিফ্রেশ করা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
আসুন জেনে নিই মস্তিষ্ক রিফ্রেশ করার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে-
মাইন্ডফুলনেশ অনুশীলন করুন
মাইন্ডফুলনেশ আমাদের মন ও মস্তিষ্ককে সুস্থ সবল ও প্রানবন্ত রাখতে সহায়তা করে। মাইন্ডফুলনেশের প্রধান উদ্দেশ্য হলো অযথা ভাবনা চিন্তায় নিজেকে ব্যস্ত না রেখে বর্তমানের প্রতি মনোযোগী হওয়া। এটি আমাদের মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক।
লেখালেখির অভ্যাস গড়ে তুলুন
মন যখন ভারক্রান্ত থাকে তখন লেখালেখির অভ্যাস গড়ে তুলুন। হাতে খাতা কমল নিয়ে লিখতে শুরু করুন এবং যা মাথায় আসছে তাই লিখে ফেলুন।
বলা হয়ে থাকে যখন আপনি আপনার চিন্তা-ভাবনাগুলি লিখে ফেলেন তখন তার চাপ থেকে আমাদের মস্তিষ্ক মুক্তি লাভ করে।
গান শুনতে পারেন
গান আমাদের মন ও মেজাজের উপর দারুন প্রভাব বিস্তার সক্ষম। তাই আনন্দ, বেদনা কিংবা অন্য যেকোনো সময়ে মানুষ গান শুনে থাকে। একইসাথে গান আমাদের মানসিক চাপ কাটিয়ে ভারমুক্ত হতেও সহায়তা করে।
পরিপূর্ণ ঘুম প্রয়োজন
রাতের নিরবিচ্ছিন্ন পরিপূর্ণ ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এ সময় আমাদের মস্তিষ্ক অপ্রয়োজনীয় স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে নবায়ন করে। তাই মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতে পরিপূর্ণ ঘুমের কোন বিকল্প নেই।
একটু হেঁটে আসতে পারেন
আমাদের চারপাশের পরিবর্তন এবং উন্মুক্ত পরিবেশে হাঁটাচলা আমাদের মস্তিষ্ককে উৎফুল্ল রাখে। তাই যখনই আপনার মনে হবে মস্তিষ্কের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে, বাইরে থেকে হেঁটে আসুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করে তুলবে।
এ বিষয়ে কথা বলুন
আমরা যখন আমাদের প্রিয়জন বা বিশ্বাসভাজন কারো সাথে আমাদের সমস্যাগুলি ভাগাভাগি করে নিই তখন একধরণের মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। এর ফলে আমাদের মন হালকা হয়ে যায়। তাই মস্তিষ্কের ক্লান্তি বা মানসিক চাপ কমাতে সম্ভব হলে কোন বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা আস্থাভাজন কারো সাথে মনের কথা খুলে বলুন। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম
টাইমস/এনজে/এসএন