মশার কামড় থেকে বাঁচতে যা খাবেন

রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বর। তাই মশার হাত থেকে রেহাই পেতে কমবেশি সবাই ‘আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ নিচ্ছেন। যেমন- বাসায় গাছের টবে পানি জমিয়ে না রাখা, মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমানো, মশা তাড়ানোর স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসল ব্যবহার করা।

এরমধ্যে স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসলের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করা জরুরী। সেজন্য মশার কামড় থেকে বাঁচতে সচেতনতার পাশাপাশি কিছু খাবারের দিকেও মনোযোগ দিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। আসুন জেনে নিই সেই খাবারগুলো কী কী-

রসুন ও পেঁয়াজ
এই দুটি সবজি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র আমাদের গা থেকে অ্যালিসিন নামে একটি কম্পাউন্ড বের হতে শুরু করে, যা মশাদের দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কাঁচা মরিচ
কাঁচা মরিচে থাকে ক্যাপসাইসিন। বলা হয়, এই উপাদানটি মশার জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধ করে। কাঁচা মরিচ রান্নায় ব্যবহারের চেয়ে কাঁচা খেলে ক্যাপসাইসিনের কার্যকারিতা থাকে বেশি। শাক-সবজি, সালাদ কিংবা অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও কাঁচা মরিচ খেতে পারেন।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
মশা তাড়াতে বহু বছর ধরে ব্যবহার হচ্ছে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার। এর গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। এখন যেহেতু এডিস মশার উৎপাত বেশি, তাই প্রতিদিন খাবারে ব্যবহার করুন অ্যাপল সাইডার ভিনেগার।

লেমনগ্রাস
লেমনগ্রাসে আছে সাইট্রোনিলা, যা প্রাকৃতিকভাবেই মশার হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। মশার জীবাণুর প্রতিরোধক হিসেবেও লেমনগ্রাস উপকারি। এটি সাধারণত স্যুপ, আচার ও থাইজাতীয় খাবারে ব্যবহার করা হয়।

টমেটো
এটি থামামিনযুক্ত খাবার। এতে ভিটামিন বি-১ থাকে প্রচুর পরিমাণে। থায়ামিন মশা প্রতিরোধে সাহায্য করে। টমেটো খেলে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে থায়ামিন নির্গত হয়। এর গন্ধ মশা সহ্য করতে না পেরে দূরে সরে যায়।

টকজাতীয় ফল
লেবু, কমলালেবু, আঙুর, লটকন এই ফলগুলোতে নোটকাটন নামে এক ধরনের উপাদান আছে। এই উপাদান শুধু মশা না, যেকোনো পোকামাকড়ের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়।

মটরশুঁটি ও মসুর ডাল
মটরশুঁটি ও মসুর ডালও টমেটোর মতো থায়ামিনে ভরপুর ও মশা প্রতিরোধক খাবার।

তবে, মশা মিষ্টিজাতীয় খাবার ও অ্যালকোহলের গন্ধ পছন্দ করে। তাই অন্তত এসব খাবার পরিহার করুন।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: