ভোলার বোরহানউদ্দিনে মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের বাস ও ভোলা-বরিশাল লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার সকাল থেকে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শহরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শুক্রবার দুপুর ৩টায় ভোলা সরকারি স্কুলমাঠে নিহতদের স্মরণে দোয়া-মোনাজাত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি মেলেনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় দোয়া-মোনাজাতের অনুমতি দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
বৃহস্পতিবার রাতে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, ‘প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর তারা আমাদের শুক্রবারের দোয়া মাহফিলের মৌখিক অনুমতি দেন। আমরা সে অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে এর প্রস্তুতিও নেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকালে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অনুমতি চাইলে তিনি আমাদের অনুমতি দেননি। উল্টো শুক্রবার ভোলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাতে আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের দোয়া মাহফিল স্থগিত করেছি। পরবর্তীতে আমরা আলোচনা করে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসার প্রয়োজনে জেলা সদরে আসা শত শত রোগী ও তাঁদের স্বজনরা।
ভোলার বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের নির্দেশ তারা শুক্রবার ভোর থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছন। পরবর্তী নির্দেশ পাওয়ার পর আবার বাস চলাচল শুর হবে।
গত ১৮ অক্টোবর বোরহানউদ্দিনে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি হ্যাক করে মেসেঞ্জারে ধর্মীয় অবমাননাকর বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়া হয়। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত রোববার ভোলার বোরহানউদ্দিনে বিপ্লব চন্দ্রের বিচার দাবিতে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত হন। আহত হন পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ।
টাইমস/এসআই