নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মী বহিষ্কার  

শাখা ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসন। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আবাসিক হল ভাঙচুর ও শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় তাদেরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা এবং রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের আরও ১৯ জনকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত জনকে ২০ হাজার টাকা করে এবং ১২ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া দুজনকে সতর্ক করা হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- ২০১৫-১৬ বর্ষের রবিউল হক চৌধুরী (কৃষি), জহিরুল ইসলাম (বিবিএ), আব্দুর রহিম সিয়াম (কৃষি), জাহিদ হাসান শুভ (ইএসডিএম), আল ইমরান (আইসিই), ২০১৬-১৭ বর্ষের কাজী আশরাফুল হক লিসান (ইএসডিএম), ইয়াসিন আরাফাত তারেক (ইএসডিএম), সাইফুল্লাহ সনি (সিএসটিই), তৌহিদুল ইসলাম (কৃষি), আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (ফলিত গণিত), ওমর ফারুক (কৃষি), আব্দুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি)। ২০১৩-১৪ বর্ষের শফিউর রহমান অন্তর (বিজিই), ২০১৭-১৮ বর্ষের মিরাজ মাহতাব (ইংরেজি), ২০১৪-১৫ বর্ষের কে এস এম সায়েম (মাইক্রোবায়োলজী) এবং ২০১৮-১৯ বর্ষের অর্নব সরকার (সমাজকর্ম)।

২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে- ২০১৪-১৫ বর্ষের মুহাইমিনুল ইসলাম নুহাশ (ফার্মেসি), মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (ব্যবসায় প্রশাসন), ২০১৫-১৬ বর্ষের জাহিদ হাসান শুভ (ইএসডিএম), ২০১৭-১৮ বর্ষ মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান বিপ্লব (ইএসডিএম), শাফকাত আবির (ইংরেজি), ২০১৪-১৫ বর্ষের আতাউল করিম রনি (কৃষি) ও ২০১৭-১৮ বর্ষের আব্দুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি)।

পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- ২০১৬-১৭ বর্ষের আবদুল রহমান শিহাব (মাইক্রোবায়োলজী), আল আমিন(কৃষি), আক্তারুজ্জামান জিসান (বিএলডব্লিউএস), ২০১৫-১৬ বর্ষের কাজী মাহমুদুর রহমান রাহিম (মাইক্রোবায়োলজী), জুবায়ের আহমেদ জনি(বিজিই), কামরুল হাসান (এফটিএনএস), আরফানুল হক(সিএসটিই), ২০১৮-১৯ বর্ষের আবদুল্লাহ আল মাহদি(কৃষি), ২০১৮-১৯ বর্ষের শাকিল মোস্তফা মানিক (অর্থনীতি), ২০১৭-১৮ বর্ষের এহতেশামুল হক শুভ (টিএইচএম), ইয়াছিন আরাফাত (বিএলডব্লিউএস), ২০১৮-১৯ বর্ষের আলি (ইংরেজি)।

জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম রবিন ও সাকিব মোশাররফ ধ্রুব এই দুই গ্রুপের চালানো দুই দিনের তাণ্ডবে একজন হল প্রভোস্টসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়। সালাম হলের প্রায় অর্ধলাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। হল ভ্যাকেন্ট করে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় হল তল্লাশি চালালে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র এবং কয়েক ধরনের নেশাদ্রব্য।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর নেওয়াজ মুহাম্মদ বাহাদুর বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে শৃংখলা বোর্ডের সভা এবং রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারপরও কেউ তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন  তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: