একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানী এখন ফাঁকা। আর যারা ঢাকা শহরে রয়েছেন তারাও বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। তাই চিরচেনা ব্যস্ত শহরে শুধুই সুনসান নীরবতা।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় নির্বাচন। রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সারা দেশে চলবে ভোট উৎসব। আর ওই উৎসবে অংশ নিতে গত সপ্তাহ থেকে ঢাকা ছেড়েছেন রাজধানীবাসী। শুক্র ও শনিবার ছুটি। এছাড়াও ভোটের দিন সারা দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে রাজধানীর একটি বড় অংশ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। এ কারণে ঈদের সময় রাজধানী যে রকম ফাঁকা হয়ে যায়, সেই চিত্রই এখন ঢাকা শহরের।
রাজধানীর পান্থপথ, কাওরান বাজার, মগবাজার, ফার্মগেট, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, তেজকুনি পাড়া, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের আনাগোনা একদম কম। এছাড়াও পাড়া-মহল্লার দোকান-পাটগুলো রয়েছে বন্ধ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে বাড়ি চলে গেছেন অনেকেই।
বেলা দেড়টার দিকে কথা হয় আবুল হোসেন নামের এক কিশোরের সাথে। সে পশ্চিম তেজতুরী বাজারের একটি লন্ডির দোকানের কর্মচারি। সে বাংলাদেশ টাইমসকে জানায়, নির্বাচন উপলক্ষে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দোকানের মালিক ও বাকি কর্মচারিরা গ্রামে চলে গেছেন। তবে সে ভোটার না হওয়াতে ঢাকায় রয়েছে।
কাওরান বাজার এলাকায় পরিতুষ নামের একজনের সাথে কথায় হয়। তিনি পেশায় মুচি পরিতুষ জানান, সকাল থেকে তিনি দোকান খোলে বসে আছেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত মাত্র ৩০ টাকা ইনকাম হয়েছে। কেন এমন অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোট দিতে লোকজন গ্রামে চলে গেছে। আর যারা ঢাকায় রয়েছে তারা বাসা থেকে বের হচ্ছে না।
তেজতুরি বাজার এলাকার একটি ফ্লাট বাড়ির ম্যানেজার মনির মিয়া। তিনি জানান, তাদের বাড়ি থেকে বেশিরভাগ ভাড়াটিয়ে গ্রামে চলে গেছে। আর যারা রয়েছে তারা ঢাকার ভোটার।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে একটি এলাকা হল ফার্মগেট। ছুটির দিন ছাড়া ওই এলাকায় লোকজনের আনাগুলো সবচেয়ে বেশি থাকে। কিন্তু সেই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, আগের মত আর কোনো ব্যস্ততা নেই সেখানে। হাতে গনা কয়েকজন বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। এছাড়াও বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ভোটকে কেন্দ্র করে শরিবার রাত ১১টা থেকে সারা দেশে সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই রাত ৮টার পরই গাড়ি বন্ধ করে দেবেন পরিবহন মালিকরা।
টাইমস/ কেআরএস/এইচইউ