নোয়াখালীতে নারী চোর চক্রের ৭ সদস্য আটক  

নোয়াখালী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। যারা আন্তঃজেলা নারী চোর চক্রের সদস্য বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি। তাদের কাছ থেকে ১৪ বস্তা চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার রাতে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটকরা হলেন- জেলা শহর মাইজদীর নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকার জুলেখা আক্তার (৩৮), জেসমিন আক্তার (৩৮), লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার সেলিনা আক্তার (২৭), রোকসানা আক্তার (২৫), কাদির হানিফ ইউনিয়নের সফিপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (৩০), মনোয়ারা বেগম তানিয়া (৩৫) ও মাইজদী নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকার জহির আহম্মেদ (৫৫)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি দল সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান চালায়। প্রথমে নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় জুলেখার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে একই এলাকা থেকে জেসমিন ও তার স্বামী সিএনজি চালক জহির, লক্ষ্মীনারায়ণপুর থেকে সেলিনা, রোকসানা ও সফিপুর থেকে রোজিনা এবং তানিয়াকে আটক করা হয়। এসময় আটকদের বাড়ি থেকে মোট ১৪ বস্তা চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের এসআই সাঈদ মিয়া জানান, আটকরা নারী চোর চক্রের সদস্য। নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা শহরের বড় শপিংমলগুলোকে টার্গেট করে কাজ করতো তারা। এরা ৭-৮ জন একসঙ্গে প্রথমে একটি দোকানে গিয়ে কোনো কর্মচারীকে টাকা দিয়ে হাত করে নিতো। পরে তাদের মধ্যে ২-৩ জন দোকানের মালিক বা ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে তাদের ব্যস্ত রাখতো। এ সুযোগে অন্য সদস্যরা দোকান থেকে মালামাল চুরি করে নিয়ে চলে যায়।

তিনি আরও জানান, উদ্ধার মালামালের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিস, জুতা ও কসমেটিকস ইত্যাদি। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই নারী চোর চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: