সুবর্ণচরের সাত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড, আরেকজন গ্রেফতার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজুবলীতে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে নারীকে গণর্ধষণের ঘটনায় সাত আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া এই মামলার ৯নং আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুর ১২টায় ২নং আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনিতা গুহ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সাত আসামিকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। রিমান্ড শুনানির পর বিচারক তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে শনিবার রাত ৩টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গণধর্ষণের মামলার ৯নং আসামি সালাউদ্দিনকে(৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার সালাউদ্দিন সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্গা গ্রামের টোকাইয়ের ছেলে।

চরজব্বর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, এ মামলায় রাতে ফেনী সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইব্রাহীম। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।

ধর্ষকরা হল- একই গ্রামের মো. তোফায়েলের ছেলে আওয়ামী লীগকর্মী ও সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেন, ইসমাইলের ছেলে সোহেল, আবুল কাশেমের ছেলে বেছু, আবুল কালামের ছেলে সোহেল, আবদুল মন্নানের ছেলে স্বপন, ইউসুফের ছেলে আনোয়ার, নুরুল হকের ছেলে আমীর হোসেন, বাগন আলী ওরফে ইসমাইলের ছেলে মো. হানিফ, টোকাইর ছেলে সালাউদ্দিন, খোরশেদের ছেলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুহুল আমিন, আহমদ উল্লাহর ছেলে বাদশা।

এরমধ্যে রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রুহুল আমিন, সোহেল, বাদশা আলম, জসিম, বেচু, স্বপন ও হাসান আলী বুলু।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে নির্যাতিতা ওই নারীর সঙ্গে কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধেরে রুহুল আমিনের নির্দেশে ১০ থেকে ১২ জন তার বাড়িতে গিয়ে স্বামী-সন্তাদের বেঁধে তাকে গণর্ধষণ ও মারধর করে।

 

টাইমস/এএস/এইচইউ

Share this news on: