বগুড়ায় ব্রিজ ভেঙ্গে ট্রাক খালে, ১৫ রুটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বগুড়ার ধুনটে বেইলি ব্রিজ ভেঙে বালুবোঝাই ট্রাক খালে পড়ে গেছে। এতে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জসহ ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মাঠপাড়া এলাকায় ধুনট-শেরপুর সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ট্রাকের চালক ও হেলপারসহ তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯০ সালের দিকে ধুনট-শেরপুর সড়কের মাঠপাড়া এলাকায় গাড়ামারা খালের ওপর ৬২ মিটার দীর্ঘ স্টিলের বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই গাড়ি চলাচলের কারণে ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর পাথর বোঝাই একটি ট্রাক পারাপারের সময় ব্রিজটির পশ্চিম অংশ ভেঙে খালের পানিতে পড়ে যায়। পরে পুরনো সরঞ্জাম ব্যবহার করে ব্রিজটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়। এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ পাঁচ টনের বেশি মালামালবাহী যান চলাচল না করতে ব্রিজের দুই পাশে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এরপরও ২০১৪ ও ২০১৬ সালে দুই দফা ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার ফের ব্রিজটি ভাঙ্গলো।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ধুনটের গোসাইবাড়ী থেকে অতিরিক্ত বালুবোঝাই একটি ট্রাক শেরপুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি মাঠপাড়া ব্রিজটির ওপর উঠলে পূর্ব পাশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। স্থানীয়রা আহত ট্রাকচালক ও হেলপারসহ তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

মাঠপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল জানান, মাঠপাড়া গাড়ামারা খালের বেইলি ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার পূর্বাঞ্চলের সংযোগকারী একমাত্র এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জ, কাজিপুর, বগুড়ার ধুনটের মথুরাপুর, সোনাহাটা, গোসাইবাড়ী ও ভান্ডারবাড়ীসহ ১৫টি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে লাখো মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সরেজমিনে ভাঙা ব্রিজটি পরিদর্শন করেছি। অনেক আগে থেকেই স্টিলের বেইলি ব্রিজের ট্রামজাম ও স্টিল ট্রেকিংসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হচ্ছিলো। আগামী ৬-৭ দিনের মধ্যে জনগণ ও যানবাহন চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। ওই স্থানে জাপান সরকারের সহযোগিতায় প্রকল্পের আওতায় একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সেখানে কাজ শুরু হবে।

 

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: