বই পড়ে পুরস্কার জিতেছে চট্টগ্রাম নগরীর ৯৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ১২৫ শিক্ষার্থী। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত স্কুল শিক্ষার্থীদের বইপড়া কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় পুরস্কার দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ পুরস্কার বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
দুইটি পর্বে শিক্ষার্থীদের স্বাগত, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরা পাঠক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। প্রথম পর্বে ৪৬টি স্কুলের ২ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় পর্বে ৪৭টি স্কুলের ২ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। এর মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ২ হাজার ৫০২ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১ হাজার ৫১৩ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৮৮১ জন এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ২২৯ জন। সেরা পাঠক পুরস্কার বিজয়ী ২২৯ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ২৩ জনকে দেওয়া হয় ২ হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার। এ ছাড়াও লটারির মাধ্যমে ৪ জন অভিভাবককেও একই ধরনের বিশেষ উপহার দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মুজিববর্ষে এ পুরস্কার বিতরণ একটা মাইলফলক। শুধু একাডেমিক বই পড়লে চলবে না এর পাশাপাশি সাহিত্যের অন্যান্য শাখার বইও পড়তে হবে। কারণ বই পড়লে আলোকিত মানুষ হওয়া যায়। বইয়ের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হবে। যাতে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। এতে অতিথি ছিলেন- কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলী নকী, কথাসাহিত্যিক ও গবেষক খন্দকার স্বনন শাহরিয়ার, চসিকের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার সাসটেইনেবিলিটি ফারজানা রহমান, সার্কেল বিজনেস হেড মোহাম্মদ শরীফ মাহমুদ খান, মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুল হক, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম প্রমুখ।
টাইমস/এইচইউ