রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণা (১৩)। নৌকাডুবির ঘটনায় এনিয়ে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার জালে মরদেহটি উঠে আসে।
নিহত রুবাইয়া নিখোঁজ নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমার ফুফাতো বোনের মেয়ে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে নববধূ পূর্ণিমা ও তার খালা আঁখি (২৫)।
নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার ওসি মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকারী দলের সাথে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন স্থানীয় জেলেরাও। রোববার দুপুরে জেলেদের মাছ ধরার জালে রুবাইয়ার মরদেহ উঠে আসে। মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নিখোঁজ নববধূ ও তার খালার সন্ধানে ঘটনাস্থলের আশপাশে কাজ করছেন উদ্ধারকারী দল। নদীর ভাটির দিকে নৌ-পুলিশ ও বিজিবি’র টহল দল ট্রলার নিয়ে ভাসমান মরদেহেরও সন্ধান করছে।
এর আগে দুর্ঘটনার পর থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন- নববধূ পূর্ণিমার চাচা শামীম (৪০), চাচি মনি বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে রশ্মি (১০), পূর্ণিমার দুলাভাই রতন আলী (২৮), ভাগনি মরিয়ম (৮) এবং খালাতো ভাই এখলাস (২৮)।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছেন বর আসাদুজ্জামান রুমনসহ ৩২ যাত্রী। তারা সবাই নববধূ পূর্ণিমার পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার পদ্মার ওপারের পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রুমনের সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুন পূর্ণিমার বিয়ে হয়। শুক্রবার বরের বাড়ি থেকে দুটি নৌকায় বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌকা দুটি রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর ডিসির বাংলো এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
টাইমস/এইচইউ