গাজীপুরে একই ঘরে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামী এবং বিছানা থেকে স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন পানিশাইল এলাকা থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।
তিনজন হলেন- পানিশাইল এলাকার মোশারফ হোসেন (২৮), তার স্ত্রী হোসনে আরা (২২) এবং এই দম্পতির মেয়ে মোহিনী (২ মাস)। মোশারফের বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ফকিরতরি এলাকায়। তিনি পরিবার নিয়ে পানিশাইল এলাকার ওই বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। মোশারফ গাজীপুরে রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করতেন।
বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক কবির হোসেন বলেন, পানিশাইল এলাকার এই বাড়িটির মালিক সাদেক আলী নামের এক ব্যক্তি। ওই বাড়ির একটি বাসা ভাড়া করে পরিবার নিয়ে থাকতেন মোশারফ হোসেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঘরের দরজা খুলতে দেরি হচ্ছিল। এ অবস্থায় বাসার অন্য লোকজন তাদের ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ওই ঘরের ভেতর থেকে তাদের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। ঘরের ভেতর থেকে বিষের গন্ধ বের হচ্ছিল। ফলে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ফোন করে থানা-পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা থেকে একদল পুলিশ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
কাশিমপুর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, ঘরের ভেতরে আড়ার সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো মোশারফ হোসেনের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। নিচে বিছানায় পড়ে ছিল তার স্ত্রী হোসনে আরা ও মেয়ে মোহিনীর লাশ। ঘরের ভেতরে বিষের দুর্গন্ধ, বমি ও বাচ্চার দুধের ফিডার-বোতল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী-সন্তানকে কৌশলে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর মোশাররফ আত্মহত্যা করেছেন।
ওসি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
টাইমস/এইচইউ