করোনা সংকট মোকাবিলায় দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এই দুই হাজার চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তালিকা প্রকাশের এ তথ্য জানায় পিএসসি। পিএসসির ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) এই তালিকা পাওয়া যাবে। এছাড়া টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটেও এই তালিকা পাওয়া যাবে।
পিএসসি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সহকারী সার্জন হিসেবে এই দুই হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সাময়িক সুপারিশ করা হলো।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সেবা পরিদপ্তরের আওতায় চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৬০০ মিডওয়াইফ নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। সে সময় পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৯০০ জন। চূড়ান্ত ফলে ১০ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে পাঁচ হাজার ১০০ জনকে নিয়োগের জন্য বাছাই করে পিএসসি। যারা তখন নিয়োগ পাননি, তাদের মধ্যে থেকে এখন পাঁচ হাজার ৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, সরকারের কাছ থেকে ডাক্তার ও নার্স নিয়োগের চাহিদা পাওয়ার পর কত দ্রুত সময় সেই নিয়োগ দেওয়া যায়, আমরা সেই উদ্যোগ নেই। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবার পরীক্ষা- এগুলো দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সেই কারণেই ৩৯তম বিসিএস ও ২০১৮ সালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষার অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এই নিয়োগ।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে বুঝতে হবে এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। এই নিয়োগকে ভবিষ্যতে উদাহরণ হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। দ্রুততম সময়ে এই নিয়োগ দিতে ছুটির মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি আমরা। নিয়োগ পাওয়া এই চিকিৎসক ও নার্সরা চলমান সংকটময় সময়ে জাতির সেবা করবে, সেটাই আমাদের আশা।
টাইমস/এইচইউ