প্রেমিককে আটকে ছাত্রীকে ধর্ষণ, মুক্তিপণ চেয়ে আটক বখাটেরা!

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার পটিখালঘাটায় প্রেমিককে আটকে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণও দাবি করেছে বখাটেরা। এঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পাটিখালঘাটা থেকে ওই কলেজ ছাত্রী ও তার প্রেমিক রিমন ওরফে তানভীর ও তার সহযোগী রায়হানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওই ঘটনার সাথে জাড়িত বখাটে রিপন, রাকিব, হোসনেয়ারা, তানিয়া, বেল্লাল ও আক্কাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ছাত্রী কাঁঠালিয়া থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মূলহোতা ও মামলার ১নং আসামি উপজেলার পাটিখালঘাটা গ্রামের সালাম হাওলাদারের ছেলে জনি, একই গ্রামের রুবেল, লিয়ন ও রাব্বিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

জানা যায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মাছুয়াখালী গ্রামের রিমন ওরফে তানভীর হাওলাদারের সাথে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ওই কলেজ ছাত্রীর ফেইসবুকে একবছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে গত ২৬ মে মঙ্গলবার প্রেমিক রিমন ও তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে মটরসাইকেলযোগে প্রেমিকার এলাকায় যায়। তাকে নিয়ে কাঁঠালিয়া হয়ে বরগুনার পাথরঘাটার উদেশ্যে যাওয়ার সময় বখাটে জনির নেতৃত্বে ৫জন মিলে প্রেমিক রিমন ও তার বন্ধু রায়হানকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা লুটে নেয়। এসময় জনি ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের অযুহাতে পার্শ্ববর্তী ফারুক জমাদ্দারের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাদেরকে হোসনেয়ারা বেগমের ঘরে আটকে রেখে পরিবারের কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এ চক্রটি।

প্রেমিক রিমনের পরিবার ৩০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় এবং বিষয়টি গোপনে পুলিশকে জানায়। পুলিশ উপজেলার চেঁচরী এলাকার একটি বিকাশের দোকান থেকে জনির গ্যাংয়ের দুই জনকে আটক করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাটিখালঘাটা হোসনেয়ারার বাড়ি থেকে ভিকটীমসহ ৩জনকে উদ্ধার করে। এসময় মুলহোতা জনির গ্যাংয়ের আরো চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওসি পুলুক চন্দ্র রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা কলেজ ছাত্রী ও তার প্রেমিক রিমন ওরফে তানভীর এবং বন্ধু রায়হানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টাইমস/জেকে

Share this news on: