গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন পারভিন হক ও ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ আমার স্ত্রী শিরিন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা বর্তমানে বাসায় আছেন। তবে শিরীনকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। আর ছেলে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেবেন।
নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি হাসপাতালে আছি। শরীরের অবস্থাও ভালো। তেমন কোনও সমস্যা নেই। এখন শরীরে জ্বর নেই। কাশি আছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অক্সিজেন নিচ্ছি।
নিজের প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত র্যাপিড কিটে নমুনা পরীক্ষায় দুইজনেরই করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছ জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, আরটি-পিসিআরে টেস্ট করাতেও নমুনা দেওয়া হবে।
গত ২৫ মে র্যাপিড কিটে নিজের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসার কথা জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে বিএসএমএমইউতে আরটি-পিসিআর টেস্টেও পজিটিভ আসে তার। আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম তিনদিন বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝে মাঝে তাকে অক্সিজেন নিতে হয়। তাছাড়া কিডনি জটিলতার কারণে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয় তাকে। এসব কারণে পরে তিনি নগর হাসপাতালে ভর্তি হন।
দেশবাসীর কাছে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া চেয়েছেন ৭৯ বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা।
টাইমস/এইচইউ