রাজধানীতেই সাড়ে সাত লাখের বেশি করোনায় আক্রান্ত

মহামারী করোনাভাইরাস কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষের আক্রান্তের খবর আসছে। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন রাজধানী ঢাকার মানুষ। ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের দাবি শুধু ঢাকাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখে বেশি।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইসিডিডিআরবি) বরাত দিয়ে শুক্রবার “বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ”’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে এই সাময়িকী।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, বাংলাদেশে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের যে সংখ্যা জানানো হচ্ছে; প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ ভারত, পাকিস্তানেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি।

ইকোনমিস্ট দাবি করছে, আইসিডিডিআরবির কর্মকর্তা জন ক্লেমেনসের অনুমান, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়ে থাকতে পারে। তবে সরকারের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯১ জন; যাদের প্রায় অর্ধেকই ঢাকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত লকডাউনের বিধি-নিষেধের বেশিরভাগই গেল সপ্তাহ থেকে তুলে নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত। এতে করে সংক্রমণ আবারও দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে।

ইকোনমিস্ট বলছে, তিন দেশে সরকারিভাবে প্রকাশিত সাড়ে ৩ লাখের বেশি আক্রান্ত এবং প্রায় ৯ লাখ মানুষের মৃত্যু নিয়ে পরিসংখ্যানকে অপেক্ষাকৃত পরিমিত দেখাচ্ছে। তবে এখনও অনেক মানুষ আক্রান্ত হলেও গণনার বাইরে রয়েছেন; লকডাউন প্রত্যাহারের আগে থেকেই তা নিয়ে ভয় ছিল। এখন সেই ভয় আরও বাড়ছে।

বর্তমান ধারায় প্রতি দুই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। তবে কিছু মডেলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, “এই অঞ্চলে করোনা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাবে আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে সরকারি পরিসংখ্যানেও আক্রান্ত ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে এবং মৃত্যু ছাড়াতে পারে দেড় লাখ।”

টাইমস/জিএস