নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ভুলুয়া । ১৬৬০ সালে এই এলাকায় বিশাল একটি খাল খনন করা হয় নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নোয়া (নতুন) খাল বলা হত। মানুষের মুখে মুখে পরিবর্তন হয়ে এই এলাকার নাম হয় নোয়াখালী।
প্রাচীন কাল থেকে নোয়াখালী ছিল সক্রিয় এখানে ১৮৩০ সালে জিহাদ আন্দোলন, ১৯২০ সালে খেলাফত আন্দোলন, ১৯৪৬ সালে উগ্রবাদীরা হিন্দুদের উপর গণহত্যা চালায় যার প্রতিবাদে গান্ধীজী নোয়াখালীতে আসেন। নোয়াখালী জেলায় ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ৯১টি ইউনিয়ন, ৮৮২টি মৌজা, ৯৬৭টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। প্রধান নদী মেঘনা ।
শিক্ষার দিক থেকেও নোয়াখালী অনেকটা এগিয়ে এখানে রয়েছে প্রায় ৫২ ভাগ সাক্ষরতার হার।
এখানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ১টি, মেডিকেল কলেজ : ১টি (সরকারি), টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ : ১টি (সরকারি), কলেজ : ৩৫টি (৮টি সরকারি), মাদ্রাসা : ১৬১টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ২৮৯টি (১২টি সরকারি), কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ৫টি, কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র : ২টি
প্রাথমিক বিদ্যালয় : ১২৪৩টি।
আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে অ-কৃষি শ্রম ৩.৪৩%, শিল্প ০.৮৪%, বাণিজ্য ১৪.৭৪%, পরিবহন খাত ৩.৮৩%, চাকুরী ১৬.১১%, নির্মাণখাত ১.৪৯%, রেমিট্যান্স ৭.৯৭% এবং অন্যান্য ১০.৫৮% অবদান রাখছে।
দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এয়াকুব আলী ব্যাপারী জামে মসজিদ, সোনাপুর, কমলা রাণীর দীঘি, গান্ধী আশ্রম, নিঝুম দ্বীপ, নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ, মাইজদি, নোয়াখালী পাবলিক লাইব্রেরী, মাইজদি[৯], ফকির ছাড়ু মিজি (রহ.) সাহেবের দরগাহ, মাইজদি[৯]
বজরা শাহী মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, সোনাইমুড়ি, মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর, মাইজদি কোর্ট বিল্ডিং দীঘি, মাইজদি, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, চর জব্বার, শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, স্বর্ণ দ্বীপ অন্যতম।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে নোয়াখালীর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা বিখ্যাত ব্যক্তি-বর্গদেরা নোয়াখালী আলোকিত করেছে।
তাদের মধ্যে মালেক উকিল-রাজনীতিবিদ, আনিসুল হক-রাজনীতিবিদ, আবদুল হাকিম –মধ্যযুগীয় কবি, ওবায়দুল কাদের –রাজনীতিবিদ, জহুরুল হক - আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম শহীদ, মওদুদ আহমেদ –রাজনীতিবিদ, মুনীর চৌধুরী – শহীদ বুদ্ধিজীবী, মোতাহের হোসেন চৌধুরী – শিক্ষাবিদ ও লেখক, মোহাম্মদ আবুল বাশার –বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিরীন শারমিন চৌধুরী –দেশের প্রথম নারী স্পিকার, মোহাম্মদ রুহুল আমিন – বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন অন্যতম।
নোয়াখালী জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-নোয়াখালী মহাসড়ক। সব ধরণের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া এ জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে।
টাইমস/এসআর/টিএইচ