নতুন অতিথি যোগ হচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণী পরিবারে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে এই তিন প্রজাতির প্রাণী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসবে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সদস্যসচিব ও হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, আমরা নিজস্ব পরিকল্পনা শেষ করেছি। পাশাপাশি নতুন প্রাণীর জন্য তিনটি খাঁচাও তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মতি নিয়েই মূল প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সব মিলিয়ে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু পাখিগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি।
চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটরের দায়িত্বে থাকা শাহাদাৎ হোসেন শুভ জানান, চিড়িয়াখানার পশ্চিম পাশে পাহাড়ের নিচে প্রায় ৪৮ হাজার বর্গফুট জায়গা আছে। সেখানে মাটি ভরাট করে তিনটি খাঁচা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই খাঁচাতেই রাখা হবে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু পাখি।
চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ১৯৮৯ সালে ছয় একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে পাখী, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, ভাল্লুকসহ প্রায় ৬৫ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।
চিড়িয়াখানা কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় আসেন। এরমধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা অন্যান্য ছুটিতে তা সাত থেকে ১০ হাজার হয়ে যায়। টিকিট বিক্রির এ টাকা থেকে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পরিশোধ, পশু খাদ্য ও উন্নয়ন খরচ বহন করা হয়।
টাইমস/জিএস