বান্দরবানে আবারও আঞ্চলিক সহিংসতায় রক্ত ঝরছে। আধিপাত্য বিস্তারের জেরে এবার গোলাগুলিতে প্রাণ গেছে ৬ জনের। জনসংহতি সমিতির মূল দল জেএসএস (সন্তু লারমা) এবং জেএসএস সংস্কার (এমএন লারমা) দু’গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে তারা প্রাণ হারিয়েছেন। এসময় আহত গুলিবিদ্ধ স্কুল শিক্ষিকার মেয়েসহ ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল ও চকরিয়া মালুমঘাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টায় গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা ভিতরের একটি পাহাড়ি এলাকায় চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপের অস্ত্রধারীরা আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মূল সংগঠন (সন্তু লারমা) গ্রুপের অস্ত্রধারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে জেএসএস সংস্কার (এমএন লারমা) গ্রুপের ৬ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহতরা হলেন-রতন তঞ্চঙ্গা, প্রজিত চাকমা, ডেবিট বাবু, মিলন চাকমা, জয় ত্রিপুরা, দিপেন ত্রিপুরা। তারা সবাই খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা।
এদিকে গুলিবিদ্ধ ৩ জনের মধ্যে স্কুল শিক্ষিকার কলেজ পড়ুয়া একজন মেয়েও রয়েছে। তবে তার নাম পাওয়া যায়নি। অন্য দুজন হচ্ছে জেএসএস সংস্কার গ্রুপের সদস্য খাগড়াছড়ির বাসিন্দার নিং চাকমা (৪২) ও বিদ্যুৎ ত্রিপুরা (৩৩)। আহতদের সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সশস্ত্র গ্রুপের দুই সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং স্কুল শিক্ষিকার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে চকরিয়া মালুমঘাট খ্রীষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সদর হাসপাতাল এলাকায়ও নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কবস্থা।
টাইমস/জেকে