করোনা পরিস্থিতিতে কাজকর্ম হারিয়ে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। এতে বিপাকে পড়েছেন এক শ্রেণির বাড়িওয়ালা। এদের মধ্যে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা তাদের সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থে অল্প পরিমাণ জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণ করেছেন, কারো কারো ব্যাংক ঋণ নিতে হয়েছে। অনেকেই পারিবারিক সূত্রে জায়গার মালিক হয়ে বাড়িওয়ালা হয়েছেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, অনেক ভাড়াটিয়া শহর ছেড়ে চলে গেছেন। যাদের বেশির ভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা লোক। চাকরি হারিয়ে তারা বাসা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন বা রাজধানীর আশপাশে কম ভাড়ায় বাসা নিয়েছেন। ফলে সংকটে পড়েছেন রাজধানী ঢাকার দুই লাখ ৪০ হাজার বাড়িওয়ালা।
ঢাকায় ভাড়াটিয়াদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, “ঢাকা শহরে প্রায় এক কোটি ৩৬ লাখ লোক ভাড়া থাকে। এদের বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত এবং প্রায় চার লাখের অধিক বাড়িওয়ালার মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার বাড়ির মালিকও মধ্যবিত্ত।”
করোনাকালে অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ যেমন করছেন, আবার ভাড়াটিয়াদের প্রতি মানবিক আচরণের কিছু উদাহরণও তৈরি হয়েছে। ঢাকা উত্তরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার সোলায়মান হক প্রায় দুই একর জায়গায় নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাসের জন্য তৈরি করা ঘরগুলোর ভাড়া তিনি অর্ধেক করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ভাড়াটিয়াদের বেশির ভাগ রিকশাচালক, হকার, বাসাবাড়িতে ঝির কাজ করা লোক। ওদের এখন দুর্দিন বলে ভাড়া কমিয়ে দিয়েছি।”
টাইমস/জিএস