সড়ক-মহাসড়ক ঘেঁষে যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট না বসিয়ে অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কোরবানির পশু বেচাকেনার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশুর হাট যত বেশি হবে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তত বেড়ে যাবে। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে।
রোববার সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানো এবং ঈদযাত্রা করোনা সংক্রমণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ঈদযাত্রা ও কোরবানির পশুর হাট সীমিত রাখতে। সরকার সেই নির্দেশনা মেনে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
ঈদে ঘুরমুখো মানুষের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ঈদে শহর থেকে গ্রামে ছুটেন মানুষ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সবাই রাজধানী থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েন। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, সময় এখন স্বাভাবিক নয়। আমরা যদি নিজ নিজ কর্মক্ষেত্র সংলগ্ন এলাকায় থেকে এবছর ঈদের আনন্দ উপভোগ করি, তবে আমাদের স্বজনরাই নিরাপদে থাকবেন। ঘরে থেকেই, দুরে বসেই আসুন এবার ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পশুর হাট সীমিত করার কথা বলেছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনও আজ এ নিয়ে বৈঠকে বসছে। তাই আমি দেশের প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ মাঠ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাবো, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সীমিত সংখ্যক পশুর হাটের অনুমতি দিন। যত্রতত্র পশুর হাট বসাবেন না।
অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কোরবানির পশু কেনাবেচার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনুন। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খামার থেকে পশু সংগ্রহ করুন। তবে এসব ব্যাপারে অবশ্যই প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে। কারণ এই ঈদে পশু বেচাকেনার সঙ্গে বড় ধরণের আর্থিক লেনদেন জড়িত। তাই প্রতারণার শঙ্কাও বেশি। কাজেই প্রশাসনকে অবহিত করে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কোরবানির পশু বেচাকেনা করুন।
টাইমস/এসএন