টাঙ্গাইলে ফের বাড়তে শুরু করেছে যমুনা, ধলেশ্বরীসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার যথাক্রমে ৬৭ ও ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
এছাড়া জেলার ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, নাগরপুর ও কালিহাতী উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তীব্র স্রোতে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। পানিবন্দি এসব এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এদিকে বন্যার পানিতে জেলার হাজার হাজার একর জমির আউশ ধান, পাট, তিল ও নানা ধরণের সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অসংখ্য পুকুর বন্যার পানির তোড়ে একাকার হয়ে গেছে। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন এবং ভূঞাপুর পৌরসভার একাংশ এরই মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় জনজীবন এখন বিপন্ন প্রায়।
জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, জেলার ছয়টি উপজেলার ১৩৭টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ২১ হাজার ১৭৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর বেশির ভাগই যমুনার চরাঞ্চলে বসবাস করতেন।
টাইমস/এসএন