মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ অবদানের জন্য ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাব পেতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন জয়পুরহাট সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছমা বিবি। আর এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর জালিয়াতির অভিযোগে আছমা বিবিকে দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ।
জয়পুরহাট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেবেকা সুলতানা ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা মন্ডল রীনা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত বহিষ্কার সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে পৌছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বয়স, জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দেয়া সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে আবেদন করেন আসমা বিবি। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা প্রকৃত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন আছমা। তার এই ঘৃণ্য অপচেষ্টা দলীয় ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ন করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ কারণেই তাকে দলের সব ধরণের পদ থেকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় আছমা বিবির বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর। কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তিনি ওই সময় ২১ বছর বয়সী তরুণী ছিলেন বলে দাবি করে নকল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করেন। এছাড়া একই উদ্দেশ্যে একাধিক সনদ ও প্রত্যয়নপত্র জাল করে বয়স বাড়িয়ে বীরাঙ্গনা খেতাব নেয়ার জন্য আবেদন করেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে। তার এ আবেদনের পক্ষে তাকে বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেটভুক্তির সুপারিশও করেন উপজেলার সরকারি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
পরে এ নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর ‘বীরাঙ্গনার খেতাব নিতে আ.লীগ নেত্রীর যত কাণ্ড!’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আছমা বিবির জালিয়াতির বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্টদের। এরপর তদন্ত ও অনুসন্ধানের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে মহিলা লীগ।
টাইমস/এসএন