সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার আগে ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের সাথে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, প্রায় বছর তিনেক আগে প্রেম করে মিতুকে বিয়ে করেন আকাশ। বিয়ের পরপরই মিতু অমেরিকা চলে যান। এরপর থেকেই বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মিতু দেশের আসার পর ওই বিরোধ আরো বেড়ে যায়। এর জের ধরে বুধবার রাতে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মিতুর বাবা ওই রাতেই আকাশের বাসায় আসেন এবং মেয়েকে নিয়ে যান। পরে ওই দিন ভোরের দিকেই ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আকাশ।
তিনি জানান, আত্মহত্যার আগে যেহেতু আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল এবং তার পরিবারের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। আকাশ তার পোস্টে মিতুর যেসব ‘বন্ধুর’ নাম বলে গেছেন, তাদের বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিতু কিছু কিছু বিষয় আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আবার কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন।
তবে শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখার সময় আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ৩২ বছর বয়সী আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে বিষ প্রয়োগ করে তিনি আত্মহত্যা করেন।
নিহত মোস্তফা আকাশ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। তিনি এমবিবিএস শেষ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এফসিপিএস পড়ছিলেন।
টাইমস/ কেআরএস