চট্টগ্রামের তরুণ চিকিৎসক ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার মামলার আসামি স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে।
শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের।
তিন দিনের রিমান্ডে পুলিশকে মিতু অনেক তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এসআই আবদুল কাদের জানান, রিমান্ডে বিয়ের পরও একাধিক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন মিতু।
তবে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন মিতু বিয়ের পর বিভিন্ন জনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা জানালেও শারীরিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।
তিনি জানান, ৬ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা হলেও এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মিতুকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক ৫ আসামির মধ্যে মিতুর পিতা আনিসুল হক চৌধুরী ও মিতুর বয়ফ্রেন্ড ডা. মাহাবুবুল আলম দেশে আছেন। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে মিতুর মা শামীমা শেলী, ছোট বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং উত্তম প্যাটেল আমেরিকায় অবস্থান করছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে নিজ শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ।
মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে প্যাটেল, মাহাবুবসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আনেন এবং তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী দায়ী বলে উল্লেখ করেন।
এ ঘটনায় আকাশের স্ত্রীসহ ৬ জনকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
১ জানুয়ারি রাতে নগরীর নন্দন কানন এলাকায় খালাত ভাইয়ের বাসা থেকে পুলিশ মিতুকে গ্রেফতার করে।