রাজশাহীর বাগমারায় সাত বছরের শিশু মারুফ হাসানকে জিনে মেরে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন মারুফের বাবা ও সৎ মা। তবে মারুফের নিজের মায়ের অভিযোগ তার সন্তানকে মেরে ফেলেছে সৎ মা ও তার বাবা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শিশুটির বাবা ও সৎ-মাকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মারুফের বাবা শাজাহান দিনমজুর। মারুফের জন্মের তিন বছর পর শাজাহানের সঙ্গে মারুফার বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে শিশু মারুফ সৎ মা মুক্তা খাতুন ও তার বাবার কাছেই থাকত।
শুক্রবার সকালে শাজাহান কাজে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর মারুফের সৎ মা স্বামীকে ফোনে জানায়, মারুফ অস্বাভাবিক আচরণ করছে। পরে পার্শ্ববর্তী কবিরাজের কাছ থেকে পানি পড়া এনে খাওয়ায়। এতে কোনও উন্নতি হয়নি। এক পর্যায়ে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় চাচা ও প্রতিবেশীরাও ছুটে এসে তার চেতনা ফেরানোর চেষ্টা করেন। তবে তা সম্ভব হয়নি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারুফ মারা যায়।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারুফকে কাফন পরিয়ে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ছুটে আসেন মারুফের আপন মা মারুফা বেগম। তিনি লাশ দাফনে বাধা দিয়ে অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। ফলে পুলিশ মারুফের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
বাগমারা থানার এসআই রিপন কুমার বলেন, বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টাইমস/এসজে