স্ত্রীকে পেটানোর অভিযোগে সিডি ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে বগুড়া সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম খোকনের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, হিরো আলম ও তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার রাতে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সাইফুল ইসলামের অভিযোগটি নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরে এই মামলায় হিরো আলমকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে।
পুলিশ জানায়, হিরো আলমের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে আহত তার স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমিকে (২৪) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ওরফে খোকন বুধবার বিকেলে হিরো আলমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
সাইফুল ইসলামের অভিযোগে বলা হয়, জামাই হিরো আলম অনেক দিন থেকেই মেয়ে সাদিয়া বেগম ওরফে সুমির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার মেয়ের মাধ্যমে জামাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু ৫ মার্চ দুপুরে হিরো আলম আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার মেয়েকে মারধর করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ দায়েরের একদিন আগে মঙ্গলবার হিরো আলম তার শ্বশুর সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও ৫ লাখ টাকা কেড়ে নেয়ার আলাদা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হিরো আলমের অভিযোগে বলা হয়, ৫ মার্চ রাত আটটার দিকে স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এর জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার সদর উপজেলার আরজি পলিবাড়ি গ্রামের বাড়িতে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করেন। একই সঙ্গে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। এছাড়া শোকেসের ড্রয়ার থেকে পাঁচ লাখ টাকা, দুটি মুঠোফোন নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
টাইমস/জিএস