এবার পূর্ণ প্যানেলেই পুনঃনির্বাচনের দাবি তুললেন নুর  

 

ডাকসুর সব পদে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুললেন নুরুল হক নুর। ডাকসু নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই ছাত্রনেতা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় টিএসসিতে এই দাবির কথা সাংবাদিকদের বলেন।

বিকেলে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুরোধে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়ার কয়েকঘণ্টা পর নতুন এই দাবির কথা বললেন নুর।

এর আগে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদকের পদ ছাড়া অন্য সবগুলো পদে নতুন নির্বাচনের দাবির কথা সাংবাদিকদের বলেছিলেন তিনি।

নুর সাংবাদিকদের বলেন, শুরু থেকেই এই নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। গতকাল আমরা সেটিরই প্রতিফলন দেখেছি। এই কারণেই ছাত্রলীগ বাদে সব ছাত্র সংগঠন নির্বাচন বর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি তাদের দাবির প্রতি একমত।

যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে নিরপেক্ষ শিক্ষকদের দিয়ে পুনর্নির্বাচন দাবি করেন নুর।

নুর বলেন, ২৮ বছর পরে যে নির্বাচন হয়েছে সেটি যেন শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দ্রুত নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। এত কারচুপির পরও আমি ও আমার সহযোদ্ধা আখতার হোসেন নির্বাচিত হয়েছি। এখন পুনর্নির্বাচন হলে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদকসহ সকল পদেই হওয়া উচিত বলে মনে করি।

ক্লাস বর্জন কর্মসূচি থেকে সরে আসার ব্যাপারে নুর বলেন, টিএসসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার মধ্যেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের দিকে তেড়ে এসেছিল। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি সৌজন্যতার সঙ্গে কথা বললেন, তাই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আমরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।

এদিকে সন্ধ্যায় পৌনে ৭টায় টিএসসির ফটকে ছাত্রলীগ বিরোধী পাঁচটি প্যানেলের নেতারা যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবি পুনর্ব্যক্ত করে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের লিটন নন্দী, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, স্বতন্ত্র জোটের অরণি সেমন্তী খান, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের এ আর এম আসিফুর রহমান, ছাত্র ফেডারেশনের উম্মে হাবিবা বেনজির ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

টাইমস/জেডটি

 

Share this news on: