নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত সিলেটের হুসনে আরা পারভীনের (৪২) লাশ নিজের কাছে রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্বামী ফরিদউদ্দিন আহমদ। সেজন্য পারভীনের মরদেহ দেশে আনার বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত।
পারভীনের বড় বোন রওশন আরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রওশন আরা জানান, পারভীনের মরদেহ দেশে নিয়ে আসা এখনও অনেকটা অনিশ্চিত। আমার বোনের লাশ এখনও পুলিশের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে রয়েছে। বিদেশে থাকা আমার বোনের স্বামীসহ অন্যরা লাশ দেশে পাঠাতে অনীহার কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আমার ভাই কাওসার আহমদও ২০১৮ সালের ৮ মে অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার লাশও দেশে আনা আনা হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন পারভীনের স্বামীর বাড়ি ও তার বাবার বাড়ির লোকজন। আত্মীয়স্বজন প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছেন তাদের বাড়িতে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। পারভীনের বাবার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা গ্রামে। তার স্বামী ফরিদ উদ্দিনের বাড়ি জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার চকগ্রামে।
১৯৯৪ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। এর কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ডে যান। ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন। পারভীন-ফরিদ দম্পতির একটি মেয়ে রয়েছে। স্বামী, একমাত্র মেয়ে ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় থাকতেন হুসনে আরা পারভীন।
আরও পড়ুন...
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা: স্বামীর জন্য প্রাণ দিলেন সিলেটের পারভীন
টাইমস/এইচইউ