নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ হামলায় চার বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের খবর জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। নিহতের সংখ্যা ছয়জন পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। রোববার বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, নিউজিল্যান্ড সরকার আমাদের দুজন বাংলাদেশি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাকি দুজন নিহতের তথ্য আমরা নিশ্চিত হয়েছি সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজনের মাধ্যমে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, নিউজিল্যান্ড সরকার বাংলাদেশকে জানিয়েছে, নিহত প্রত্যেকের পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কাছে তারা মরদেহ হস্তান্তর করবে এবং তারা মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ড. সামাদের পরিবার তাঁকে নিউজিল্যান্ডে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিহতের বড় ছেলে বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাবেন।
শনাক্ত হওয়া নিহত দুজন হলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ ও সিলেটের ফরিদ আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা পারভীন।
এক কর্মকর্তা জানান, এখনও নারায়ণগঞ্জের মো. ওমর ফারুক ও চাঁদপুরের মোজাম্মেল হক নিখোঁজ রয়েছেন। ‘সম্ভবত’ তারা মারা গেছেন। এছাড়া জাকারিয়া ভুইয়াও নিখোঁজ রয়েছেন। নরসিংদীর জাকারিয়া প্রায় ১৮ মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে নিউজিল্যান্ডে এসেছিলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে লিপির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার আরেকটি অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। কিশোরগঞ্জ থেকে নিউজিল্যান্ডে আসা লিপির স্বামীর নাম মাসুদ।
এছাড়া পায়ে গুলিবিদ্ধ মুতাসসিম (গাজীপুর) ও শেখ হাসান রুবেলের অবস্থা বিপদমুক্ত।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নৃশংস হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন।
হামলার পর আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ মসজিদে রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
টাইমস/এইচইউ