চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্মঘট

গ্রেফতার ছাত্রলীগের ছয় নেতার মুক্তিসহ চার দফা দাবিতে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ।

রবিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রধান ফটক বন্ধ করে রেখেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এছাড়া ট্রেনের হুইস পাইপ কেটে দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর আগে, ১ এপ্রিল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- গ্রেফতার ছয় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগ, হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে প্রত্যাহার, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রশাসন কর্তৃক যেসব মিথ্যা মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের হুইস পাইপ কেটে দেয় অবরোধকারীরা। এদিকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী হলের মোড় পর্যন্ত ব্যারিকেড দিয়ে রাখে তারা। পরে পুলিশ এসে ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সব দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আখতারুজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। সকালে রাস্তায় ব্যারিকেড দিলে তা পুলিশ সরিয়ে দেয়।

অবরোধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর জীবন বলেন, মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে। তাই অবরোধের ডাক দিয়েছি। উপাচার্য আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পাঁচটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২৮ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরের দিন (১ এপ্রিল) ফের উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ালে ঘটনাস্থল থেকে ছয় জনকে আটক করে পুলিশ। পরে ৩ এপ্রিল আটক ছাত্রলীগ কর্মীদের দেশীয় অস্ত্র মামলায় কোর্টে চালান দেয় হাটহাজারী থানা পুলিশ।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ