‘নাইকো দুর্নীতিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জড়িত’

নাইকো দুর্নীতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতার রয়েছে বলে দাবি করছে কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় কানাডার পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। দুই দেশের তিন তদন্ত কর্মকর্তার জবানিতে নাইকো দুর্নীতিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতার কথা এসেছে।

এদিকে এফবিআই ও কানাডিয়ান পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে ছোট করার জন্যই অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে ব্যবহার করছে সরকার। আদালতে এই প্রতিবেদনের কোন ভিত্তি নেই।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডিয় কোম্পানি নাইকোকে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক এমপি এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরিফ।

Share this news on: