স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকাতে পুলিশের দ্বারস্থ লন্ডন প্রবাসী বধূ

লন্ডনে থাকা স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন লন্ডন প্রবাসী এক সিলেটী বধূ। জান্নাতুল ফেরদৌস নামের ওই বধূ একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলে জানা গেছে।

শনিবার সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার কাছে এ বিষয়ে একটি আবেদন করেছেন। জান্নাতুল ফেরদৌসের পক্ষে তার মামা নগরের জালালাবাদ থানার পশ্চিম সুবিদবাজার লন্ডনি রোডের বাসিন্দা আবুল হাসনাত আবেদনটি করেন।

এর আগে ৯ এপ্রিল একই বিষয়ে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হোম অফিস ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনে দুটি পৃথক আবেদন করেছেন ওই বধূ।

দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়া স্বামীর নাম সৈয়দ আলী জাবেদ। তিনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের দরগাপাশা গ্রামের সৈয়দ আনহার আলীর ছেলে।

আবেদনে জান্নাতুল ফেরদৌস উল্লেখ করেন, ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুনামগঞ্জের দরগাপাশা গ্রামের সৈয়দ আনহার আলীর ছেলে বাংলাদেশি নাগরিক সৈয়দ আলী জাবেদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ব্রিটিশ নাগরিক জান্নাতুল ফেরদৌসের। জাবেদ বর্তমানে সিলেট নগরীর শাহপরান (রহ.) থানার আল ইসলাহ ৫৬/১০ নম্বর বাসার বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকে জাবেদকে লন্ডনে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন জান্নাতুল ফেরদৌস। কিন্তু পরে জানতে পারেন জাবেদ একজন বখাটে, চরিত্রহীন ও মদ্যপ। আর পরকীয়ায় আসক্ত। তাকে এই পথ থেকে ফেরাতে লন্ডনি বধূ অনেক টাকা পয়সা খরচ করে সংসার করার জন্য সুপথে আনার চেষ্টা করেন। তবে তা সম্ভব হয়নি।

আবেদনে লন্ডনি বধূ আরও উল্লেখ করেন, জাবেদ তার স্বামী। বিয়ের পর থেকে তিনি তিনবার বাংলাদেশে এসেছেন। আর তাকে লন্ডনে নেয়ার জন্যও অনেক চেষ্টা করছেন। কিন্তু সে তার অবর্তমানে অন্যত্র আরো একটি বিবাহ করার জন্য পাত্রী ঠিক করেছে। ইতিমধ্যে তার বিয়ের দিন তারিখও ঠিক হয়েছে। তাই ওই বিয়েটি বন্ধ করে দিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তিনি অনুরোধ জানান।

লন্ডনি বধূর মামা আবুল হাসনাত জানান, তার লন্ডন প্রবাসী ভাগনি জান্নাতুল ফেরদৌস। জান্নাতুলের স্বামী জাবেদ। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের তালাকও হয়নি। আর তার ভাগনির কাছ থেকে জাবেদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে তার লন্ডন প্রবাসী ভাগনির অনুমতি না নিয়ে জাবেদ প্রতারণা করে সুনামগঞ্জের ছাতকে বিয়ে ঠিক করেছে। তাই এ বিয়ে বন্ধের জন্য তিনি পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা জানান, লন্ডনি বধূর মামার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ বিয়ে বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: