রাজশাহীর পুঠিয়ায় ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ওই শিক্ষকের নাম আরিফুল ইসলাম।
শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।
পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বাগমারা উপজেলার নাজিরপুর এলাকার লোকমান আলীর ছেলে। তিনি খলিসাকুড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক আবদুল হান্নানের পরিবর্তে পাঠদান করছিলেন।
ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, যৌন নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসাছাত্রের বাড়ি বাগমারা উপজেলার বালিয়া গ্রামে। সে দুই বছর যাবৎ খলিসাকুড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় পড়াশোনা করছে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন বলে জানান ওসি।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার সকল ছাত্র ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে ওই ছাত্রকে ডেকে তুলে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নির্যাতন করেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরদিন শুক্রবার মাদ্রাসার অপর ছাত্র জাহিদের কাছে বিষয়টি জানালে সে ঘটনাটি ওই ছাত্রের বাবাকে মোবাইল ফোনে জানায়।
ভিকটিম ছাত্রকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক যৌন নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বলে ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি নুর মোহম্মদ জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক হান্নানের মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ১০ দিনের জন্য আরিফুল ইসলাম তার পরিবর্তে সেখানে পাঠদান করাতে এসেছিলেন।
টাইমস/এএস/জেডটি