পুরান ঢাকার ওয়ারীতে ১০ একর জায়গার ওপর স্থাপিত ঢাকা খ্রিস্টান কবরস্থান। বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের প্রথম কবরস্থান এটি। এর উত্তর পাশে সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতাল আর পূর্ব দিকে দয়াগঞ্জের সুইপার কলোনি। হাসপাতাল আর কলোনির বর্জ্যে রীতিমতো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে চারশ বছরের পুরনো এই কবরস্থানটি।
কবরস্থানের মতো জায়গায় ময়লা ফেলতে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও মানছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কলোনির বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কবরস্থানের পূর্ব ও উত্তর দিকের সীমানা প্রাচীরের পাশে ময়লা ও আবর্জনায় ভরা। হাসপাতাল আর কলোনির সব ধরনের ময়লা ও আবর্জনা ফেলা হয়েছে এখানে। কবরস্থানের এই জায়গাটিতে মাছের আঁশটে, তরকারির খোসা, পঁচা তরমুজ, পুরনো জামা-কাপড় হাসপাতালের ওষুধের প্যাকেট বোতল, প্যাডসহ বিভিন্ন ধরনের ময়লা দেখা গেল। এসব ময়লা আবর্জনা খাচ্ছে কুকুর ও কাক।
ঢাকা খ্রিস্টান কবরস্থানের দারোয়ান সৌমিক সরেন বাংলাদেশ টাইমস’কে বলেন, সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার আমরা সব কিছু পরিষ্কার করি। তবে বিরক্ত লাগে সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও সুইপার কলোনির ময়লা পরিষ্কার করতে। ময়লা না ফেলতে আমরা অনেকবার তাদের বলেছি। কিন্তু তারপরেও ময়লা ফেলানো বন্ধ হচ্ছে না। তাদের যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ট।
এ বিষয়ে দয়াগঞ্জ সুইপার সমাজকল্যাণ সংঘের সভাপতি কার্তিক লাল বলেন, ‘পবিত্র জায়গায় ময়লা ফেলা আমাদের জন্য খুবই খারাপ বিষয়। ময়লা না ফেলতে ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে গিয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করেছি।
কবরস্থানে ময়লা ফেলার বিষয়ে জানতে সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের পরিচালকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বাইরে আছেন বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী ভবনের রেড কালেক্টর পপি আক্তারের কাছে নিয়ে যান।
পপি আক্তার বলেন, পবিত্র জায়গায় যাতে কোনো ময়লা না পড়ে সেজন্য আমরা ক্যান্টিনে কোনো জানালা রাখিনি। তবে বিষয়টি আমরা এই প্রথম জানলাম। এখন থেকে আমরা সবাইকে বিষয়টি জানাবো। আপনি নিউজ কইরেন না।
এ সম্পর্কে কাকরাইল গির্জার ফাদার ও ঢাকা খ্রিস্টান কবরস্থানের চেয়ারম্যান বিমল কমিটির সাথে কথা না বলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পবিত্র জায়গায় কেউ ময়লা ফেলা উচিৎ নয় বলেও জানান তিনি।
টাইমস/টিআর/জেডটি